নাস্তিকদের কর্মকান্ড রুখতে হবে

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ২০ জুন, ২০১৩, ০৬:০৯:০৮ সন্ধ্যা

মানবের সৃষ্টিলগ্ন থেকে পৃথীবিতে ধর্মে উৎপত্তি। অন্যথা ইহজগতে নাস্তিকদের সংখ্যা আস্তিক র্ধামিকদের থেকে বেশি থাকতো। স্যাকুলার বা নাস্তিকদের সংখ্যা এতই নগন্য যে, স্যাকুলারিজম বা নাস্তিকতা কি তা সধারণ মানুষকে বুঝাই দিতে হয়। আমরা একসময় বাংলাদেশে নাস্তিক বলে তাছলিমা নাসরিন, কবির চৌধুরী, শাহরিয়ার করিব, হুমায়ূন আজাদ গং কে চিনতাম। তাদের অনেকেই উপরে উপরে স্যাকুলার বলে দাবী করলেও তাদের অজান্তে সৃষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করতেন। সাহিত্যিক কবি সৈয়দ শামছুল হকের একটি প্রবন্ধে দেখেছি, তিনি ও তাছলিমা নাসরিন একবার নৌ ভ্রমনে গিয়েছেন, হঠাৎ নৌকা ঢেউয়ের তোড়ে হেলে উঠলে তাছলিমা নাসরিন বলে উঠলো " হে আল্লাহ আমাদের রক্ষা কর" । তিনি আল্লাতে বিশ্বাসী নন, কিন্তু তাঁর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাচ্ছেন। আশ্চার্য না!

আমার ধারনা ছিল, নাস্তিক মানে বুড়ো কোন সাহিত্যিক টাইপের লোক। তরুণ প্রজম্নের মধ্যে কেউ নাই । আমার ধারনাটি ছিল সম্পূর্ণ ভূল। শাহবাগে তথাকথিত জাগরণ মঞ্চের কিছু ব্লগার বিরুদ্ধে নাস্তিক নাস্তিক রব উঠার পর যখন দেখি স্যোসাল মিডিয়া গুলোতে তরুণ প্রজম্নে বিশাল একটা অংশ নাস্তিক। এরা হরহামিশাই সকল ধর্মের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে কুৎসা, কুটুক্তি করে যাচ্ছে। এদের সাথে শাহবাগের জাগরণ মঞ্চের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। এরা আগে থেকে বিভিন্ন গ্লগ ও ওয়েব সাইডে সঙ্গবদ্ধ ছিল। যা আস্তিকদের ধারনার বাইরে ছিল। তারা এখনও সঙ্গবন্ধ ।কাদের মোল্লার রায়ের পর এই সঙ্গবদ্ধ চক্রটিই শাহবাগে প্রথমে মাঠে নেমে আসে। আপনারা দেখবে ফেসবুক, টুইটারে এবং বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েব সাইড ব্লগে সেমন Dhomokari.com, mukto-mona.com, sachalayatan.com সহ শত শত সাইডে তারা তাদের হীন কর্মটি করে যাচ্ছে। অন্যদিকে এরা সবাই বামদলগুলো এবং আওয়ামীলীগ প্রচন্ড ভক্ত ও কর্মী ।তারা তাদের লিখনিতে বিএনপি নেত্রীকে গোলাপি বেগম বলে সম্ভোধন করেছে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে কুটু্ক্তি করেছে। তারা দাবি করছে, আগামি ১০০ বছরে পৃথিবীতে নাকি আস্তিকরা সংখ্যালগু হবে। ওমর ফারুক লুক্সি নামক এক নাস্তিক বলেছে ইউরুপের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অধিকাংশ ছাত্র ধর্ম মানে কিন্তু বিশ্বাস করেনা। আমি মনে করি গণতান্ত্রিক দেশ নাস্তিক থাকতেই পারে। আমরা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসি তারা বিশ্বাসী না তাই বলে আমাদের বিশ্বাসকে গালি দেয়া, আঘাত করা। আমাদের আল্লাহ ও নবী রাসুলকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করার কোন রাইট নাই। হেফাজতে ইসলাম আসার পর সরকার এদেশের ঈমানদার মানুষের আই ওয়াশ কারার জন্য কিছু নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেরেফতার করেছে। কার্যতঃ তাদের কোন কর্মকান্ডকে নিষিদ্ধ করেনি। তাদের ওয়েব সাইডগুলো বন্ধ করেনি। বরং মন্ত্রী এমপিরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে নাস্তিকদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়েছে।সরকার যাদেরকে গ্রেফতার করেছে তাদের শাস্তির জন্য গ্রেফতার করেনি বরং তাদেরকে কেউ হত্যা করতে পারে সেই ভয়ে তাদেরকে জেল হেফাজতে রেখেছে। নাস্তিকরা যে ভাবে সঙ্গবদ্ধ হয়েছে, অতিসত্তর তারা একটি ইজম বা মাজহাব নিয়ে দেশবাসির সামনে আর্ভিভূত হবে। তাই সময় থাকতে তাদেরেক রুকতে হবে। তাদের কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৬২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File